শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হিজাব ইস্যুতে ভাঙা হলো ইরানি নারী ক্রীড়াবিদের বাড়ি

অনলাইন ডেস্ক
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১৪ |আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৩
ইরানের নারী ক্রীড়াবিদ এলনাজ রেকাবি।
ইরানের নারী ক্রীড়াবিদ এলনাজ রেকাবি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইরানে হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। ইরানি কর্তৃপক্ষের নানামুখী দমন-পীড়নের পরও বিক্ষোভে ভাটা পড়েনি। এই পরিস্থিতিতে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের প্রতীক হিসেবে হেড স্কার্ফ না পরেই একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ইরানের এক নারী ক্রীড়াবিদ।

এবার তার পারিবারিক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচিত ওই নারী ইরানি ক্রীড়াবিদের নাম এলনাজ রেকাবি। তিনি গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান রক ক্লাইম্বিং প্রতিযোগিতায় হিজাব না পরেই অর্থাৎ নিজের চুল খোলা রেখেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও যেকোনও ধরনের প্রতিযোগিতায় ইরানের নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য হিজাব পরা অপরিহার্য।

৩৩ বছর বয়সী এলনাজ রেকাবি গত অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় ইরানের বাধ্যতামূলক পোশাক কোড লঙ্ঘন করেন। এতে করে হিজাববিরোধী আন্দোলনকারীদের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে এলনাজ রেকাবি জানান, তার হেডস্কার্ফ অসাবধানতাবশত পড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

 

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যেখানে মাটিতে খেলাধুলার মেডেল পড়ে থাকাসহ একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখানো হচ্ছে। এছাড়া ওই ভিডিওতে এলনাজ রেকাবির ভাই এবং ইরানের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়াবিদ দাউদকে কাঁদতে দেখা গেছে। ইরানের সরকারবিরোধী কর্মীরা এটিকে এলনাজ রেকাবির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করে নিন্দা করেছেন। যদিও এই ফুটেজটি ঠিক কখন ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়

তবে ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, নির্মাণের জন্য পরিবারের বৈধ অনুমতি না থাকার কারণে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে এলনাজ রেকাবি হেড স্কার্ফ ছাড়াই দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান রক ক্লাইম্বিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগেই বাড়িটি ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।

তবে বিবিসি তার প্রতিবেদনে বলছে, ইরানের নারীদের হেড স্কার্ফ বা হিজাব দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হয় এবং তাদের হাত ও পা ঢিলেঢালা পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। নারী ক্রীড়াবিদরা যখন বিদেশের প্রতিযোগিতায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করেন তখন তাদের ইরানি পোশাক কোড মেনে চলতে হয়।



মন্তব্য করুন