জাবি ছাত্রলীগের কমিটি চারবার সংশোধন, কেন্দ্র বলছে বিব্রতকর
জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পাঁচ বছর পর ২৯ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। ৩৮৮ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণার পর গত চারদিনে অন্তত চারবার সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে সদস্য সংখ্যা ৩৮৮জন থেকে ৪০৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
সংশোধনের বিষয়ে শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি বলছেন, ‘সংশোধন কেনো হচ্ছে
সেটা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ভালো বলতে পারবেন।’ আর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বলছেন, ‘যেসব অভিযোগ আসছে
তা আমাদের জন্য বিব্রতকর।’
এর আগে
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কেন্দ্রীয়
সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত
বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। এর মাত্র ৩ ঘণ্টা পর প্রথম সংশোধন
করে দুটি নতুন পেজ সংযুক্ত করা হয়।
পরদিন
সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বার, ১ ডিসেম্বর রাতে তৃতীয় বারের মত এবং
সর্বশেষ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) চতুর্থবারের মত সংশোধন করা হয় জাবি ছাত্রলীগের
কমিটি।
প্রথম
প্রকাশিত কমিটির তালিকায় সহ-সভাপতি পদে ১০০ জন; সাংগঠনিক সম্পাদক
ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন করে; সহ-সম্পাদক পদে ৬৬
জন; সদস্য ৫৫ জন এবং ১৪৩ জনকে বিভিন্ন পদে সম্পাদক ও
উপ-সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়।
তবে সর্বশেষ
সংশোধনী অনুযায়ী তাসমিয়া মেহরিন ও ফারহান আনজুম তানজিলকে সহ-সভাপতি হিসেবে
অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাদের দুজন পূর্ববর্তী তালিকায় উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ও
উপ-মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক পদ পেয়েছিলেন। সহ-সভাপতি পদে মো. আসাদুজ্জামান
(আসাদ),
আব্দুল্লাহ শহীদ শুভ, জিয়াদ ফারজানা জুই,
জাহিদ আদনানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে সহ-সভাপতি পদধারীর
সংখ্যা মোট ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র পদে
মো. ফরহাদ আলী শুভ, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে জোবায়ের
মাহমুদ আদিত্য, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে শান্ত
চন্দ্র শীল, উপ-মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক পদে মিনি
সাহা, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান আশিক,
উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে ইশিতা কবির তন্বী, উপ-নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ ফাহিম প্রিয়ম, উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে সাদিয়া তাসনিম ও তানভীর সিদ্দিকীর
নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
এছাড়া
সহ-সম্পাদক পদে শাকিল খান, রেজওয়ান চৌধুরী রায়হান, মিনহাজুল ইসলাম তুষার, মোমিনুল ইসলাম আরাফ,
অনন্ত হীরা দাস মৃন্ময় ও মো. আওলাদ হোসেনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা
হয়। সদস্য পদে ফয়সাল আমিন আলিফ আলফা এবং আলী হোসেন শিমুলের নামও অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা
ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘প্রথমবার
দেয়া তালিকায় কিছু ভুল থাকতে পারে। সেজন্য সংশোধনী আসতে পারে। তবে এ ব্যাপারে
কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ভালো বলতে পারবে। বারবার সংশোধনী আসুক আমরাও চাই না। তবে
আশা করছি আর সংশোধন হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ
সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি এ বিষয়ে বলেন, ‘এ
বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেখছে। কেনো বারবার পরিবর্তন
আসছে তা আমার জানা নেই। তবে যেসব অভিযোগ আসছে তা আমাদের জন্য বিব্রতকর।’
মন্তব্য করুন