শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের সংঘর্ষ, আহত ২৭

জাবি প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৪ |আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০০
জাবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জাবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে দুই হলের প্রায় ২জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত চিকিৎসক।

জানা যায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায় আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের মধ্যাকার খেলা চলাকালীন অফসাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই হলের খেলোয়াড়রা বিবাদে জড়ায়। পরে দুই হলের দর্শকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

 

এ সময় উভয়ই হলের শিক্ষার্থীদেরকে জি আই পাইপ, রড, লাঠিসোঁটা, রামদাসহ দেশিও অস্ত্র হাতে মারামারি করতে দেখা যায়।

 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু বটতলা অবস্থান নেয় কামাল উদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয় মধ্যবটতলায়। পরে দুই পক্ষের ভিতর তুমুল ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়।


এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে ইতিহাস বিভাগের কামাল উদ্দিন হলের ৫০তম ব্যাচের আবাসিক শিক্ষার্থী অর্পণ এবং দর্শন বিভাগের ৪৮ব্যাচের রাসেল আকন্দ গুরুতর আহত হলে পিছু হাটতে শুরু করে তারা।

 

অন্যদিকে একই সময়ে ভাসানী হলের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন হৃদয় (৫০ ব্যাচ), রাব্বি (৫০ ব্যাচ), হুজায়ফা (৪৯ ব্যাচ), নয়ন (৪৯ ব্যাচ)।  নিবিড় (৪৬ ব্যাচ), নজরুল (৪৭ ব্যাচ)। বর্ষণ, সারোয়ার, তারেক। তারা সবাই ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

 

এছাড়া আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, মুন্না (৫০ ব্যাচ), মুক্তা (৫০ ব্যাচ)। শাহিন (৪৯ ব্যাচ), আসিফ(৪৯ ব্যাচ), হাসিব (৪৯ ব্যাচ), সজীব(৪৮ ব্যাচ), ইফাজ (৪৮ ব্যাচ), সুমন (৪৮ ব্যাচ), রনি (৪৭ ব্যাচ),  হাসান, (৪৭ ব্যাচ), ফাহিম (৪৭ ব্যাচ), সজল(৪৬ ব্যাচ), আদিব (৪৬ ব্যাচ), শিমুল (৪৫ ব্যাচ), মুহিত (৪৫ ব্যাচ), হিমেল (৪৭ ব্যাচ) এবং সোহান (৪৭ ব্যাচ)।

আহতদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে সাভার এনাম মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ফিরোজ উল হাসান বলেন, 'বিকেলে খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়ায়। আমরা হল দুটির সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। 



মন্তব্য করুন