বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরবঙ্গের মঙ্গা শব্দটি আজ শুধু ইতিহাসের পাতায় : আসাদুজ্জামান নূর

নীলফামারী প্রতিনিধি
৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৪৮ |আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:২০
প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ  করছেন আসাদুজ্জামান নূর।
প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ করছেন আসাদুজ্জামান নূর।

জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করার আহবান জানিয়ে নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘বাজারে এখন যেসকল সার ও কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে তা বিষ থেকে কম নয়। ফসলের উর্বরতার জন্য কৃষকরা সার ও অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করছে। কিন্তু কৃষকরা সঠিক পদ্বতি না জানায় বেশি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারে ফসল নষ্ট হয়। আপনারা কৃষি বিভাগ থেকে সঠিক নিয়ম জেনে সঠিক পরিমানে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করুন।’

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বোরো ধানের হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব সরকার। তিনি বিনামূল্যে কৃষকদের সার ও বীজ প্রদান করছেন। যা সারাবছর চলমান থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। আজ উত্তরবঙ্গের মঙ্গা শব্দটি শুধু ইতিহাসের পাতায়। গ্রামের প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে। ইপিজেডে হাজার হাজার শ্রমিক মোটরসাইকেলে করে কাজ করতে যাচ্ছে

তিনি আর বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে, চলে এসেছে। বাজারে এখন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বছরে তা কমবে কি না আমরা জানি না। তাই আপনারা জমি ফেলে না রেখে বেশি বেশি করে ফসল আবাদ করু

সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য ইসরাত জাহান পল্লবী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রূপন মহসীন রেজা।

জানা যায়, সদরের ১৫ ইউনিয়নের ১২ হাজার ২৮০ জন কৃষকের মাঝে পর্যায়েক্রমে ৫ কেজি করে উফশী জাতের বোরো ধান, হাইব্রিড জাতের বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, সয়াবিন, শীতকালীন পিঁয়াজ, মুগ ডালের বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বিতর করা হবে।



মন্তব্য করুন