বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাধিকবার কক্ষ পরিবর্তন : সংবাদ প্রকাশের পর সিট পেলেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি
২২ মার্চ ২০২৩ ১২:০৫ |আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩ ০৮:২৭
সংবাদ প্রকাশের পর সিট পেলেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী
সংবাদ প্রকাশের পর সিট পেলেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সংবাদ প্রকাশের পর হলে ফ্লোরিং করে থাকা সেই শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সিট পেয়েছেন।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২৫৫ নম্বর কক্ষে তাকে তুলে দেন হল প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হলের প্রাধ্যক্ষ সুজন সেন বলেন, আজ দুপুরে ২৫৫ নম্বর কক্ষে নাদিম আলীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

নাদিম আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার নাদেরাবাদ গ্রামের মো. বাইরুল ইসলামের ছেলে। বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। ৪ বছর বয়সে এক দুরারোগ্যে আক্রান্ত হয়ে বাম পা বিকল হয়ে গেছে তার। ডান পায়ে ভর করেই হাঁটেন এই শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে নাদিম আলী বলেন, হল প্রশাসন আড়াইটার দিকে আমাকে সিটে তুলে দিয়েছে। আর আমার সিটে থাকা সেই ছাত্রলীগের ছেলের জিনিসপত্র বের করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর (২০২২) হলের তৃতীয় ব্লকের নিচতলার ১৫২ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ দেয় প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু ছাত্রলীগের হল সভাপতি নাঈম নামের এক শিক্ষার্থীকে ওই সিটে তোলেন। এতে দুইমাস ওই কক্ষে থাকতে পারিনি আমি। এসময় একদিন প্রাধ্যক্ষকে আবাসিকতার বিষয়টি জানালে আমার সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, ‘আমাদের কমিটিরই এক ছোট ভাই ওই কক্ষে ছিলো। প্রাধ্যক্ষ স্যার নাদিম আলীকে সেখানে অ্যালোট দেন। পরে আমি প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলে অন্য কক্ষে অ্যালোট দিয়ে পরিবর্তন করে দেই।’

নাদিম আলী বলেন, পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি নাদিম আলীকে ২৩৪ নম্বর কক্ষে বরাদ্দ দেয় কিন্তু ওই কক্ষে আগে থেকেই দুই আবাসিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২৫৫ নম্বর কক্ষে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সিটে বর্তমানে ফ্লোরিং করে থাকছি। কিন্তু ওই সিটে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকনের অনুসারী মেহেদী হাছান।

এ বিষয়ে মেহেদী হাছান বলেন, আমি একবছর ধরে ওই সিটে অবস্থান করছি। প্রাধ্যক্ষ আমাকে সিট বরাদ্দ দেবেন বলে জানায় কিন্তু দেয়নি। আমার কোনো আবাসিকতা নেই।

গত ৬ মার্চ ২২৭ নম্বর কক্ষে নাদিম আলীকে আবারও সিট বরাদ্দ দেয় প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু ওই সিটে উঠতে নিষেধ করে হুমকি দিয়েছেন ১০৫ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী নুর আলী। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। অভিযোগের বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, ওই কক্ষে আমার এক ছোট ভাইয়ের ওঠার কথা ছিলো কিন্তু হল প্রাধ্যক্ষ ইতোমধ্যে দুজনকে অ্যালোট দিয়ে দিয়েছেন। নুর আলীর হুমকির বিষয়ে কিছু জানি না।



মন্তব্য করুন