রোজায় কেন কলা খাবেন?

প্রতীকী ছবি
রোজায় আপনি কী খাচ্ছেন তার ওপর অনেককিছুই নির্ভর করে। ইফতারে ভাজাপোড়া, ভারী মসলাদার খাবার খেয়ে পরে আবার অভিযোগ করবেন যে শরীরটা মোটেই ভালো লাগছে না, একবারও কি ভেবে দেখেছেন, শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনি কি সঠিক খাবার খাচ্ছেন? ইফতার ও সাহরিতে খেতে হবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার। সুস্থ থাকার জন্য এর বিকল্প নেই।
পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় শুরুর দিকেই
থাকে বিভিন্ন ফলের নাম। তার মধ্যে অন্যতম হলো কলা। অল্প খরচে অধিক পুষ্টি এবং কম সময়ে
শক্তি জোগানোর কাজে কলা ভীষণ কার্যকরী। এতে থাকে মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার। তাই প্রতিদিনের
ইফতারে কলা রাখুন। জেনে নিন ইফতারে কলা খাওয়ার উপকারিতা-
শক্তি
বাড়াতে কাজ করে
সারাদিন রোজা রাখার কারণে ইফতারের সময়
শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। এসময় শক্তি দ্রুত শক্তি পেতে চাইলে ইফতারের থালায় রাখুন কলা।
কারণ শক্তি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। কোনো কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকেরা কলা
খাওয়ার পরামর্শ দেন। কলায় থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আপনার ক্লান্তি দূর করবে সহজেই।
হাড়
ভালো রাখে
হাড়ের দিকে খেয়াল না রাখলে একটা সময় আপনাকে
ভুগতে হতে পারে। বয়স ছাড়াও নানা কারণে আমাদের হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। রোজায় জয়েন্ট পেইনসহ
হাড়ের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে ইফতারে কলা খেতে পারেন। কলায় থাকা পটাশিয়াম
ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত ও ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করে
রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক বেড়ে
যায়। এই সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ইফতারে রাখুন কলা। কারণ এই ফলে থাকে পেকটিন নামক
একটি ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
পেট
পরিষ্কার রাখে
রোজায় পেট পরিষ্কার রাখা জরুরি। কারণ হজমে
কোনো ধরনের সমস্যা হলে তা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলবে। সেইসঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা তো
যোগ হবেই। ভালো হজম ও পেট পরিষ্কারের জন্য কলা রাখুন খাবারের তালিকায়। একটি কলায় ৩
গ্রাম ফাইবার থাকে। ফলে এটি খুব দ্রুত হজম হয়ে যায়। সেইসঙ্গে পেট পরিষ্কারেও ভূমিকা
রাখে।
ডায়াবেটিসে
ক্ষতিকর নয়
মিষ্টি স্বাদের ফল বলে অনেক ডায়াবেটিস
রোগী ভয়ে কলা খেতে চান না। তাদের ধারণা, কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু কলার জিআই ভ্যালু খুবই কম। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
মন্তব্য করুন