শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত

রূপগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীর মুঠোয় জিম্মি, মুক্তি চায় অভিভাবকগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মে ২০২৩ ১২:১১ |আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ০৮:৪৭
রূপগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীর মুঠোয় জিম্মি, মুক্তি চায় অভিভাবকগণ
রূপগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীর মুঠোয় জিম্মি, মুক্তি চায় অভিভাবকগণ

রাজধানীর উপকন্ঠের জনপদ রূপগঞ্জে চলছেশিক্ষা নিয়ে বেসাতি। মানহীন শিক্ষক নিয়োগ, তহবিল আত্মসাৎ, মানোন্নয়নে মন্থরগতিআর দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের গুরুতর অভিযোগ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরপরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া ২০১৬ সালে হাইকোর্টের দেয়া রায় অনুসারে বেসরকারিশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিগণ সভাপতি হতে পারবেন না।যা মানা হয়নি রূপগঞ্জেরশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে । এমপি একাধিকপদে থাকার পাশাপাশি, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আর অনুসারীদের প্রধানকরেছেন তিনি। এতে ভেঙ্গে পড়েছে সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা।

তথ্যমতে, ২০০৯ সালে প্রণীতমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরেরবেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিংকমিটি প্রবিধানমালার ৫(২) ও৫০ বিধি অবৈধ ঘোষণাকরে রায় দেন হাইকোর্ট।যার ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে এমপিদের দায়িত্ব পালন এবং গভর্নিংবডির বিশেষ কমিটিতে তারা থাকতে পারবেননা বলে সে রায়েআদেশ প্রনীত হয়। অথচ সেরায়কে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রূপগঞ্জের অর্ধেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের প্রধান হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলামদস্তগীর গাজী। শুধু তাই নয়নিয়ম বহির্ভুতভাবে যোগ্য পরিচালক বাদ দিয়ে বিভিন্নপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের প্রধান করা হয়েছে তারছেলে গাজী গোলাম মতুর্জাপাপ্পা, গাজী গোলাম আসরিয়াবাপ্পী, স্ত্রী হাসিনা গাজীকে। অবাক করার মতোব্যাপার পুত্রের শ্বাশুড়িকেও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরসভাপতি করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রূপগঞ্জউপজেলার ৪০টি  প্রাথমিকও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাদ্রাসা ও৫টি কলেজের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীগোলাম দস্তগীর গাজী তার কাছের ব্যক্তিদের  ক্রীড়া আরসহকারী শিক্ষকদের প্রধান করেছেন তিনি। এর ফলে পাঠদানেরচেয়ে দলীয় কর্মসূচীতেই তাদের অংশগ্রহন অধিক দেখা যায়। 

সরাসরি সভাপতি না থাকার বিধানতোয়াক্কা না করে রূপগঞ্জেরএমপি নিজে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হবার পাশাপাশি প্রায়সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার আত্মীয়স্বজন, ঘনিষ্ঠজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অনুসারীদের রেখেছেন।এ অবস্থায় রূপগঞ্জের শিক্ষার মান তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।



মন্তব্য করুন