বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইবি ছাত্রকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ, রেজিস্ট্রারকে মেইল করলেন আতঙ্কিত বাবা

ইবি প্রতিনিধি
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৩৩ |আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া এক নবীন শিক্ষার্থী র‍্যাগিয়ের শিকার হয়েছেন, অভিযোগ করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রেজিস্ট্রারের কাছে মেইল করেছেন। মঙ্গলবার এ মেইল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

তিনি বলেন, শওকত নামের এক ব্যক্তি শিক্ষার্থীর বাবার পরিচয়ে মেইল করেছেন। মেইলে তিনি তার ছেলেকে র‍্যাগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে আমি বিষয়টি দেখার জন্য প্রক্টর অফিসে পাঠিয়েছি।

মেইলে তিনি উল্লেখ করেছেন- গত সপ্তাহে তার ছেলে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে। তার ছেলে সহ আরও ৭/৮ জন ছাত্র অন্য কয়েকজন ছাত্র দ্বারা নির্যাতিত হয়। তারা নবীন শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য ডেকে নিয়ে ক্রিকেট মাঠে পানি বহন করানো, বাবা-মাকে নিয়ে গালিগালাজ, মোবাইল ফোন তল্লাশি সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এতে তার ছেলে ভয় পেয়ে রাতে ঘুমাতে পারেনি। এখন তিনি তার ছেলেকে এখানে পড়াবেন কিনা এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের সাহায্য কামনা করেন।

অভিযোগকারী ওই অভিভাবক মেইলে লিখেছেন, এধরনের ঘটনা আমার ছেলের সাথে ঘটায় আমি হতবাক হয়েছি। ঘটনার পর থেকে ছেলের সাথে আমরাও আতঙ্কিত। ছেলের নিরাপত্তার কথা ভেবে এখনই তার পরিচয় বা অভিযুক্তদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দুয়েকদিনের মধ্যে আমি ক্যাম্পাসে এসে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মেইলে সুস্পষ্টভাবে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। আমরা মেইলে উল্লিখিত নাম্বারে যোগাযোগ করে পুরোপুরি তথ্য দিতে বলেছি৷ আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে এবিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিমুল রায় বলেন, আমরা নবীন বরণের দিনই সবাইকে র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে সচেতন করেছি। এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে এক নবীন ছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। উচ্চ আদালত র‍্যাগিং বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে মাইকিং করে র‍্যাগিং বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এতেও থেমে নেই র‍্যাগিং। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। এরপর থেকে ক্যাম্পাস সহ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।



মন্তব্য করুন