এবার কেমন কাটবে তাদের ঈদ
ছবি : সংগৃহীত
ঈদকে সামনে রেখে বাণিজ্য করার চিন্তায় বঙ্গবাজার প্রতিটি দোকানে মালামাল ভর্তি, ভালো বেঁচা বিক্রি এ চিন্তা নিয়েই দিনগুলোতে আশায় বসে ছিল ব্যাবসায়ীরা।
কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার ভোর ৬ টার দিকে তাঁদের এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়, ভয়াবহ আগুনে পুড়লো রাজধানীর বঙ্গবাজার। পুড়ে গেছে অন্তত ৩৫০০ দোকান। সব হারানো ব্যসায়ীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে এলাকা। ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে ৫০টি ইউনিট সাড়ে ৬ ঘণ্টা টানা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হেলিকপ্টার নিয়ে যোগ দেন সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী সদস্যরাও। ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্যসহ ৮ জন আহত ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিপণিবিতানগুলোতে।
★ স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেল!
দীর্ঘদিনে অল্প অল্প করে জমানো টাকা ১৭ বছর আগে একমাত্র ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাজুন্নেসা বেগম। তা দিয়ে ছেলে কামরুজ্জামান রনি বঙ্গবাজারের মহানগর কমপ্লেক্সে একটি ছোট্ট দোকানে শুরু করেছিলেন পাইকারী পোশাক ব্যবসা।
মায়ের জীবনের সঞ্চয়ের মূলধনে শুরু করা রনি দোকানের নাম দিয়েছিলেন তাজ ফ্যাশন। ১৭ বছর ধরে এই দোকানটিই রনির পরিবার সামলে উঠার একমাত্র অবলম্বন। অসুস্থ বাবার চিকিৎসাও চলছিল এর আয় থেকে। (নিউজ বাংলা ২৪)
৪০ জন কর্মচারী আমার দোকানে কাজ করতো, আর আজকে আমি পথের ফকির। ৭টা দোকানে ২ কোটি টাকার পণ্য ছিল। ক্যাশ ছিল ১৫ লাখ টাকা। সব শেষ আমার।
(ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম)
এমন চিত্র এখন প্রতিটি দোকানে, একদিন আগেও অনেক দোকানে কোটি টাকার মালামাল উঠানো হয়েছে কিন্তু বিক্রির আগেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল! তাদের এ ক্ষতির দায়ভার কে নেবে?
লেখক : নাজমুস সাকিব
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ
মন্তব্য করুন