কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে না : মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পুরোনো ছবি
আগামী ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ফরেন অফিস কনসালটেশন বা পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে (এফওসি) আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে বলে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার
আমন্ত্রণে আগামী ২৩ নভেম্বর পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের দিল্লি
যাওয়ার কথা রয়েছে। ২৪ নভেম্বর দিল্লিতে দু’দেশের পররাষ্ট্র
সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে বলে ঢাকা ও দিল্লির সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন এমন সময়ে দিল্লি যাচ্ছেন, যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের
অবস্থান জানিয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর দিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের টু প্লাস টু বৈঠকেও বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনের
বিষয়টি আলোচিত হয়। বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের ভবিষৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী
বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল।
এদিকে ওই বৈঠকের পর সম্প্রতি মার্কিন মধ্য
ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে সংঘাতময়
রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান তিন
রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি পাঠান।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের
তারিখ নির্ধারণ করে তপশিল ঘোষণা করেছে। যদিও এখনো নির্বাচন ও সংলাপ প্রশ্নে অনড় দুই
প্রধান রাজনৈতিক দল। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে
মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
করা হলে তিনি দু’দেশের রাজনৈতিক আলাপ হয়ে গেছে মন্তব্য
করে বলেন, এফওসি একটি রুটিন বৈঠক। এতে রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হবে বলে মনে হয় না। সেখানে
অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হবে।
জাপানের বিনিয়োগকারীদের একটি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন জানান, মিয়ানমার থেকে জাপানি অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা সরিয়ে আনতে আগ্রহী। প্রায় ৩১টি জাপানি কোম্পানি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ খাত, বন্দর ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানি বিনিয়োগকারীদের নির্বাচনের পর প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান। একইসঙ্গে তিনি সিলেট এলাকায় জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করারও প্রস্তাব করেছেন।
কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের চলমান বাংলাদেশ সফর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে দেখা করছেন। আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন বলে শুনেছি। তাদের জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন