ঈদে খাওয়া বেশি হলে যা করবেন
প্রতীকী ছবি
রাত পোহালেই ঈদ। উৎসবের এই সময়টাতে বিভিন্ন রকম খাবার দিয়ে ভরা থাকে টেবিল। পাশাপাশি আত্মীয় বা বন্ধুদের বাড়িতে দাওয়াতেও যেতে হয়। না চাইতেও মাঝেমধ্যেই তাই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। বাড়তি খাবার খেয়ে ফেললে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি হাঁসফাঁস বা অস্বস্তি লাগার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে অস্বস্তি কমাতে কী করবেন?
বেশি খাওয়া হয়ে গেলে হালকা ব্যায়াম কিংবা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে হজম যেমন দ্রুত হবে, তেমনি রক্তে শর্করার পরিমাণও কমবে। কিছুক্ষণ সাইকেল চালাতে পারেন। তবে ভরপেটে ভারী ব্যায়াম করতে পারেন না। এতে উল্টো হজমের গতি কমে যেতে পারে।
পানি পান করুন
ভারী খাবারের পর এক কাপ পানিতে চুমুক দিন। এটি খাবার থেকে পাওয়া অতিরিক্ত লবণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকেও রক্ষা করবে। তবে খাবার খাওয়ার পর পরই বেশি পানি খাওয়া অনুচিত। খাবার শেষ করার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করুন। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে দিনের বাকি সময়ও পানি পান করতে ভুলবেন না।
খাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না
ভারী খাবার খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়। এতে শরীর ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ হারায়। এছাড়া এটি হজমকে ধীর করে দিতে পারে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কোল্ড ড্রিংক খাবেন না
অনেকে অতিরিক্ত খাওয়া শেষ করেই চুমুক দেন কোল্ড ড্রিংকের গ্লাসে। এটি করবেন না। কার্বনেটেড পানীয়ের মাধ্যমে আপনি গ্যাস গিলে ফেলেন যা আপনার পাচনতন্ত্রকে আরও পূর্ণ করে দেয়। এতে আরও বেশি হাঁসফাঁস লাগতে শুরু করে।
দই খান
শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে ও হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে ফার্মেন্টেড বা গাঁজন করা খাবার বেশ উপকারী। তাই ভারী খাবার খাওয়া শেষে সামান্য দই খেতে পারেন। খাবার হজম হবে দ্রুত।
পরবর্তী খাবারের মেন্যু ঠিক করুন বুঝেশুনে
একবেলা ভারী খাবার খাওয়া হলে দিনের অন্যান্য খাবার নির্বাচন করুন বুঝেশুনে। লো ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখুন মেন্যুতে। সবজি ও সালাদ জাতীয় খাবার রাখুন মেন্যুতে।
মন্তব্য করুন