বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৩ |আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৩
‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ উদযাপন
‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ উদযাপন

মুসলমান রীতিতে চল্লিশা মৃত ব্যক্তির স্মরণে পালন করা হলেও এবার ব্যতিক্রমী চল্লিশা ‘উদযাপন’ করল মিরপুরবাসী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার মসনদ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ায় পালন করা হয়েছে ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে আজমল হাসপাতালের গলিতে এই চল্লিশার আয়োজন করে মিরপুরবাসী। অপরদিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নৈশভোজের আয়োজন করেন।

স্বৈরাচারের চল্লিশা উপলক্ষে গরু জবাই ও বিরিয়ানি রান্না করা হয়। একই সঙ্গে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

রাজধানীর মিরপুরে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর ও এলাকাবাসী।

চল্লিশার আয়োজক মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আন্দোলনে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। বিশেষ করে আজমল হাসপাতালের গলিতে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে এ এলাকা হয়ে ওঠে এক অভেদ্য দুর্গ ও আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই স্বৈরাচার পতনের চল্লিশতম দিনে আমরা বাঙালি মুসলিমের ঐতিহ্য অনুযায়ী চল্লিশা পালনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর অবদানের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাদের আপ্যায়নের একটা চেষ্টা করেছি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চল্লিশার আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি শুধুমাত্র খাবারের আয়োজন নয়, এটি বিভাগের সকলের মধ্যে ভালোবাসা ও সংহতি সৃষ্টি করার একটি প্রচেষ্টা। পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে তারা একটি ব্যঙ্গাত্মক রূপে দেশের স্বৈরাচারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন।

এ প্রসঙ্গে বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, স্বৈরাচারেরর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ঘৃণা ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এ ভিন্নধর্মী আয়োজন। এর মাধ্যমে একটা বার্তা থাকবে যাতে ভবিষ্যতে দেশে কখনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।

নোমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা স্বৈরাচারের পতনের ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এ ভোজের আয়োজন করেছি। আমরা মনে করি, এ আয়োজন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসেবে লেখা থাকবে। একই সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন কিছু নিদর্শন রেখে যেতে চাই যেটা দেখে তারা বুঝতে শিখবে যে স্বৈরাচারীদের পরিণতি কী হতে পারে।



মন্তব্য করুন