শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা জানালেন নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৩ |আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪২
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত কাঠামোর নানা দিক নিয়ে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, গণহত্যার জন্য আগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যক্তিবর্গের বিচার হবে এবং এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তাদের রাজনীতি থাকবে কি না। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল, তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা, জঙ্গিবাদ, গণহারে মামলা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে কথা বলেছেন নাহিদ।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমরা সরকারে এসেছি। আমাদের ভূমিকা ...আমরা তখন রাজপথে ছিলাম এখন সরকারে আছি। ভূমিকা উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একই থাকছে। আমরা ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ করে একটা নতুন বাংলাদেশ করতে চাই যেখানে সামাজি ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে। আমরা সরকারে থেকেও সেই একই কাজটিই করছি। হয়তো আমাদের পদ্ধতিটি আলাদা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভূমিকা ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য একই রয়েছে।

ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছে আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে আছি। রাজনীতির বিষয়টি জনগণের ওপর আমি ছেড়ে দিচ্ছি। যদি জনগণ প্রত্যাশা করে বা আমার সে ধরনের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে আমি সেটা ভবিষ্যতে রাখবো।

রাজনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, এই যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, গত ১৫ বছরের যে দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাট এবং ভোটাধিকার হরণ, এরজন্য অবশ্যই আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অলরেডি এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এবং তাদের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবেও এই সকল অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং গণহত্যার প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন। যে হত্যা এবং অপকর্ম তারা করেছেন সেটার জন্য তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা। বিচার প্রক্রিয়ার পরই বলা যাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটুকু থাকবে কি থাকবে না। বিচারের আগে তাদের রাজনীতি বা তাদেরকে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।

নাহিদ বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিঘ্ন ঘটে এই ধরনের আইন বা ধারা আমরা বাতিল অথবা সংশোধন করবো। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়েও অলরেডি কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।



মন্তব্য করুন