"Z" ক্যাটাগরির নামে সেইফ এক্সিট আর কতদিন?
প্রতীকী ছবি
যারা বলছে এইসব কোম্পানি ভালো না তাই ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে! এই কোম্পানি গুলার শেয়ার কিনে যেসব বিনিয়োগকারী হাহাকার করছে তাদের কথা বাদ দিলাম! তাদের আবেগ কে গুরুত্ব দিতে চাই না! আইন অনুযায়ী যা সঠিক তাই হবে!
কথা হলো, এই শাস্তি কি আসলেই শাস্তি?
এমন শাস্তি দিলে কোম্পানির মালিকের কি কি সমস্যা হয় বলতে পারবেন?
কোম্পানির CEO, সচিবদের কি বেতন-ভাতা বন্ধ থাকে? এমন শাস্তি দিলে কি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়?
এক কথায় এইধরনের শাস্তির উপকারীতা কি কি সেটা DSE ও BSEC কে বলতে হবে?
যে অপরাধ/অনিয়ম/ব্যর্থতায় এইধরনের শাস্তি দেয়া হলো! কতদিনের মধ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সেই সমস্যার সমাধান করবে এটাও শাস্তিদাতাদের বলতে হবে!
BSEC ও DSE তে বড় বড় চেয়ারে বসে একদিকে দুর্বল ও ঋনগ্রস্ত কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করবেন! আরেকদিকে পূর্বে তালিকাভুক্ত হওয়া দুর্বল কোম্পানি কে সেইফ এক্সিট দিবেন! এমন সুযোগ ২০২৪ সালে এসে নিতে চেষ্টা করবেন না!
"Z" ক্যাটাগরিতে থাকা ও নতুন করে "Z" ক্যাটাগরিতে যাওয়া কোম্পানি গুলার দায় BSEC ও DSE কে নিতে হবে! কোম্পানি তালিকাভুক্ততে আপনারা জড়িত থাকেন! আইন বানানো ও প্রয়োগের ক্ষমতা আপনাদের হাতে! কোম্পানি পরিচালনার ক্ষমতা পরিচালনা পর্ষদের হাতে! ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে না পারা আপনাদের ব্যর্থতা! তালিকাভুক্ত কোম্পানি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতা!
অথচ আপনাদের কোন শাস্তি হলো না! কোম্পানির পরিচালনা পরিচালনা পর্ষদের কোন শাস্তি হলো না! আপনারা শুধু কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে দিলেন! এটা বিনিয়োগকারীদের সাথে তামাশা করা ছাড়া আর কিছুই নয়!
বর্তমান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এইধরনের বৈষম্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানবে না! যুক্তিক কারনে কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে করেন! এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই! কিন্তু যাদের অপরাধ/অনিয়ম/ব্যর্থতায় কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হচ্ছে! তাদের বহালতবিয়তে রেখে সব দায় বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে দিবেন এটা হতে পারে না! এটা বৈষম্য, এমন বৈষম্য বিনিয়োগকারীরা মানে না!
তাই আমাদের এক দফা দাবি "Z" ক্যাটাগরিতে থাকা সকল কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করতে হবে"!
বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলো পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে! একইভাবে BSEC ও DSE কে দায়িত্ব নিতে হবে!
একটা নোটিস দিয়ে "Z" ক্যাটাগরিতে পাঠিয়ে দিবেন! আরেকদিকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সাথে আতাত করে! তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকবেন এমনটা আর হবে না!
যদি সময় থাকতে BSEC ও DSE উদ্যোগে পুঁজিবাজারের বৈষম দূর না হয়! তবে বিনিয়োগকারীদের বেশিদিন চুপ রাখতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না! কাদের অফিস কোথায় এটা কিন্তু সবাই জানে! HSC পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ডুবে গেছে এবং তাদের দাবি আদায় হয়েছে! BSEC ও DSE তে এমন কিছু হোক আমরা চাই না! এই পুঁজিবাজারের আমাদের ভালোবাসার জায়গা! কাউকে আমাদের পুঁজিবাজার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দিব না!
আগামী রবিবারের মধ্যে BSEC ও DSE এর পক্ষ থেকে রোডম্যাপ ঘোষণা করা করতে হবে! "Z" ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলার পরিচালনা পর্ষদ কিভাবে পুনর্গঠন করা হবে? ডিরেক্টর হোল্ডিং ৩০% পুরন করতে ব্যর্থ কোম্পানি গুলার পরিচালনা পর্ষদ কিভাবে পুনর্গঠন করা হবে?
মন্তব্য করুন