শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহবাগ ব্লকেডের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৩ |আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২১
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে রাতে শহীদ মিনারে অবস্থান করবেন ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা।

এদিকে ন্যায়বিচার পাওয়ার ইঙ্গিত না মিললে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার মধ্যে ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না পেলে শাহবাগ ব্লকেড করবেন তারা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে ফিরে এই ঘোষণা দেন মাহিন সরকার। তিনি বলেন, রাতে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থা কর্মসূচি পালন করবো। যদি ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না দেখি, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আবার শাহবাগ ব্লকেড করা হবে। একইসঙ্গে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সবার জামিনের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের স্বজনরা এই আলটিমেটাম দেন। এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে সেনা হত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানান চাকরিচ্যুত ও কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা।

 এছাড়া পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিরপরাধদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যমুনায় পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে পুলিশের বাধা দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে, ভোরের আলো ফোটার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয় সেখানে। এই মানববন্ধনে সাবেক বিডিআর সদস্যদের পাশাপাশি কারাগারে থাকা পরিবারে লোকজন অংশ নেন।

২০০৯ সালে বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে, আরও ২২৮ জনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, খালাস পান ২৮৩ জন।



মন্তব্য করুন