শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৭ |আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২১
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়েছে। এখন থেকে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা চলবে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর খালেদা জিয়ার বেশকিছু টেস্ট করা হয়েছে। ডাক্তাররা তাদের প্রাথমিক কার্যকর শুরু করে দিয়েছেন। কাল বৃহস্পতিবার থেকে তার যথাযথ চিকিৎসা শুরু করবেন তারা।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যথেষ্ট হাসিখুশি রয়েছেন। তার মনোবল অনেক শক্ত। তিনি দীর্ঘ জার্নি করে আসার পরেও বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে না উঠে ছেলে তারেক রহমানের গাড়িতে করেই হাসপাতালে এসেছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৮ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এ ছাড়া যুক্তরাজ‍্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে দোহা হয়ে লন্ডনে পৌঁছান।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিএনপির চেয়ারপারসন লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার তাতে সায় দেয়নি। ফলে দেশেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচারসহ যাবতীয় চিকিৎসা চলছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসা নিতে তার বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।



মন্তব্য করুন