শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমাজকর্ম দিবস উদযাপন

রাবি প্রতিবেদক
২১ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৩ |আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৭:০১
রাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমাজকর্ম দিবস উদযাপন
রাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমাজকর্ম দিবস উদযাপন

"রেসপেক্টিং ডাইভারসিটি থ্রো জয়েন্ট সোশ্যাল অ্যাকশন'' প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিশ্ব সমাজকর্ম দিবস পালিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টা এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একাডেমিক ভবন থেকে একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের গ্যালারি কক্ষে এসে এক আলোচনা সভায় সমবেত হয়।

বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ কবির উদ্দিন হায়দার। এ সভায় সমাজকর্ম দিবস নিয়ে উপস্থাপনা করেন রাবি স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম। 

এ সময় বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জামান বলেন, সমাজকর্ম হচ্ছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিনির্ভর একটি সাহায্যকারী ও সক্ষমকারী পেশা, যা সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি তথা মানুষকে এমনভাবে সাহায্য করে যাতে মানুষ তার বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেই নিজেদের সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয়ে উঠে । সমাজকর্ম ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সম্পদ ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে এবং সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।

আধুনিক শিল্পসমাজের বহুমুখী ও জটিল সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, বিজ্ঞানিরা যন্ত্র আবিষ্কার করেন আর সমাজকর্মীরা নির্ধারণ করেন এই যন্ত্রটা কোন স্থানে, কোথায়, কখন, কিভাবে কাজে লাগাতে হয়। এই দুনিয়াতে মানুষ যা কিছু  আবিষ্কার করেছে তা তার অস্তিত্বের বিরুদ্ধে করে। শুধু আমেরিকা, জাপান, জার্মানিইংল্যান্ড চেষ্টা করলে এ বিশ্বকে বাঁচাতে পারবেনা। বিশ্বকে বাঁচাতে হলে সবাইকে এক হতে হবে। পরিবেশকে সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্য একসাথে কাজ করে যেতে হবে।


এসময় বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজকর্মের প্রয়োজনীয়তা ও অদূর ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনা নিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলামঅধ্যাপক ড. শেখ কবির উদ্দিন হায়দার প্রমুখ। এসময় বিভাগের শিক্ষককর্মকর্তা-কর্মচারী সহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রদর্শনী করা হয়। প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর