রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওমরাহ কাদের জন্য, এর ফজিলত ও কবুল হওয়ার শর্ত

অনলাইন ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২৩ ০৮:০৯ |আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ওমরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সারা বছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মুসলিম ওমরাহ পালন করতে মক্কা ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশ থেকেও ওমরাহযাত্রীদের সংখ্যা মোটেও কম নয়। এ ছাড়া হজ পালনার্থে সৌদি গমনকারীরা প্রথমে ওমরাহ পালন করবেন। তাদের জ্ঞাতার্থে ওমরাহ পালনের ফজিলত, নিয়মকানুন ও বিধিবিধান নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ওমরাহর ফজিলত

ওমরাহ পালনের অসংখ্য ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেন, এক ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ, উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের কাফফারা। আর জান্নাতই হজে মাবরুরের একমাত্র প্রতিদান। সহিহ মুসলিম : ১৩৪৯

ওমরাহ ওয়াজিব না সুন্নত?

ওমরাহ ওয়াজিব না সুন্নত তা নিয়ে ফিকহের ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-এর মতে, ওমরাহ ওয়াজিব। পক্ষান্তরে ইমাম মালিক ও আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, ওমরাহ পালন করা সুন্নত। কারণ হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ওমরাহ কি ওয়াজিব? তিনি বলেছেন, না, ওমরাহ করা তোমার জন্য উত্তম। সুনানে দারাকুতনি : ২৭২৪

ওমরাহ কাদের জন্য

হজের মতো ওমরাহর জন্যও সুস্থ, শারীরিকভাবে সক্ষম এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সামর্থ্যও থাকতে হবে, তাহলেই ওমরাহ করা সুন্নত। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার মর্ম হলো, সফরের সময়ে নিজের, পরিবারের ও অধীন ব্যক্তিদের সব ধরনের খরচ নিশ্চিত করার পর ওমরাহ পালনের মতো অর্থ জমা থাকা।

হজ যেমন জীবনে একবার আদায় করা ফরজ, তেমনি ওমরাহও জীবনে অন্তত একবার আদায় করা সুন্নত। সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য একাধিক ওমরাহ করতে অসুবিধা নেই। তবে হজ ফরজ থাকা অবস্থায় হজ বাদ দিয়ে বারবার ওমরাহ করা অনুচিত। অবশ্য ওমরাহ আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায়, এ কথা সঠিক নয়। কারণ হজ ও ওমরাহর খরচে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। আর ওমরাহ হজের সফরে যেমন করা যায়, আলাদাভাবেও করা যায়। নারীদের জন্য মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকার শর্ত রয়েছে।

ওমরাহ কবুল হওয়ার শর্ত

ওমরাহ একটি ইবাদত। তাই অন্যান্য ইবাদতের মতো এটিও ইখলাস ও নবী কারিম (সা.)-এর অনুসরণ ছাড়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। ওমরাহতে ইখলাসের মর্ম হলো, শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন সাফল্যের উদ্দেশ্যে ওমরাহ সম্পাদন করা; কোনো ধরনের পার্থিব উদ্দেশ্য এখানে গ্রহণযোগ্য নয়; বিশেষ করে প্রচারপ্রিয়তা ইবাদতের সওয়াব নষ্ট করে দেয়। আর নবী কারিম (সা.)-এর অনুসরণের মর্ম হলো, তিনি যেভাবে ওমরাহ পালন করেছেন, সাহাবিদের শিখিয়েছেন এবং সম্মতি দিয়েছেন, সেভাবেই তা পালন করা।



মন্তব্য করুন