রোনালদোকে টপকে গিনেস বুকে মেসি
ভিন্ন এক রেকর্ডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে টপকে গেছেন মেসি
কিছুদিন আগেই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে টপকে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর মাধ্যমে এই পর্তুগিজ সুপারস্টার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলেন। তবে এবার ভিন্ন এক রেকর্ডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে টপকে গেছেন মেসি। ফুটবলারদের মধ্যে আর্জেন্টাইন মহাতারকা সবচেয়ে বেশি রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন, যা তাকে গিনেস বুকের শীর্ষে ওঠিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) টুইটার অ্যাকাউন্টে
প্রকাশিত এক পোস্টে তথ্য জানায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ। যেখানে সর্বোচ্চ ৪১টি
রেকর্ড গড়ার মধ্য দিয়ে এক নম্বরে ওঠে এসেছেন মেসি। তার চেয়ে একটি কম রেকর্ড গড়া রোনালদোর
অবস্থান দুইয়ে। এই তালিকার তিনে আছেন রবার্ট লেভান্ডোফস্কি, চারে কিলিয়ান এমবাপে ও
পাঁচে নেইমার জুনিয়র।
খেলোয়াড়ি জীবনে গোল, শিরোপাসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই
লিওনেল মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে এসেছেন রোনালদো। মাঠের খেলায় দুজন এখন দুই
প্রান্তে। একজন সৌদি লিগ মাতাচ্ছেন, আরেকজন ব্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিগে। তবে
এখনও দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা কমেনি। কিছুদিন আগেই গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩
সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকায় রোনালদোর সবার ওপরে থাকার কথা। সবমিলিয়ে
সেটি ছিল রোনালদোর ১৭তম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
গতকাল অনুষ্ঠিত আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপেও
নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েন পর্তুগিজ তারকা। যেখানে বর্তমানে খেলছেন এমন কেউ তার ধারেকাছেও
নেই। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হেড দিয়ে রোনালদো ১৪৫তম গোল করেছেন। তারচেয়ে একটি
কম গোল (১৪৪) নিয়ে এর পরের অবস্থানে আছেন ১৯৭৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির গার্ড মুলার।
হেডে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে করেছিলেন ১২৪টি গোল।
সর্বশেষ কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জিতে নিজের
ফুটবল ক্যারিয়ারের ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন মেসি। জীবনকে উপভোগ করতে এখন ইউরোপের জায়ান্ট
ক্লাব ছেড়ে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে। সেখানে অভিষেক ম্যাচেই ফি-কিকে
গোল করার অনন্য নজির গড়েন। পরবর্তী ম্যাচে দুটি গোলের পাশাপাশি অবদান রাখেন সতীর্থের
গোলেও।
গিনেসবুকের তালিকায় তিনে থাকা পোল্যান্ড
ও বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড লেভান্ডোফস্কির রেকর্ড ৯টি। এছাড়া চারে থাকা ফরাসি তারকা
এমবাপের ৫টি রেকর্ড এবং ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার গড়েছেন ৪টি রেকর্ড।
মন্তব্য করুন