সুপারফুড হচ্ছে পুষ্টি সমৃদ্ধ এমন প্রাকৃতিক খাবার, যেগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে। ব্রকোলিকে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে এতে।

ব্রকোলি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন কে এবং ফোলেটের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর। নিয়মিত ব্রকোলি খেলে নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। জেনে নিন ব্রকোলি খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

শীতকালীন সবজি ব্রকোলি সালফোরাফেনসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং সম্ভাব্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত ব্রকলি খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্রকোলিতে সক্রিয় যৌগ রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রকোলির ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি কমায় এবং কোষের পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে।

লো কার্ব সমৃদ্ধ এই সবজিটি ফাইবার সরবরাহ করে। ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে। ব্রকোলিতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে৷ এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বেরিয়ে যায়।

ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজমের গণ্ডগোল দূর করতে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্রকোলিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। 

নিয়মিত ব্রকোলি খেতে ত্বক ভালো থাকে। ভিটামিন সি শরীরকে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ত্বকসহ শরীরের কোষ এবং অঙ্গগুলোর জন্য জরুরি। 

সবজিটিতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং কোলাজেন একসঙ্গে কাজ করে এবং মজবুত রাখে হাড়। শরীরের ৯৯ শতাংশের বেশি ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতে থাকে। কোলাজেন তৈরির জন্য শরীরের ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। উভয়ই পাওয়া যায় ব্রকোলিতে।