হঠাৎ রুদ্ধদ্বার বৈঠক, মুখে কুলুপ এঁটেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
হঠাৎ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে স্থবির হয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা। পাশাপাশি সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই অবস্থায় বৈঠকে বসেন সরকারের পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন
নাহার চাঁপা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রোমানা আলী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ
আলী আরাফাত এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে দুপুড় সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন কাদের। এদিন খুব একটা
দীর্ঘ হয়নি সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন শেষে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের।
সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা দেড়টার দিকে আরও বাকি মন্ত্রী ও
প্রতিমন্ত্রীরা এসে যোগ দেন। বৈঠকে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করেই বৈঠকটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা
হতে পারে। এ ছাড়া পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনও বৈঠকের আলোচ্য বিষয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষামন্ত্রী
ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তবে তারাও স্পষ্ট কিছু বলতে রাজি হননি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ
আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে জানান, বৈঠকে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা
হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আদালত
থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে, সেভাবেই হবে। অপেক্ষা করতে হবে, সরকার আপিল করেছে। সুতরাং এ বিষয়ে
এই মুহুর্তে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত
আন্দোলনকারীদের অপেক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে
তিনি জনদুর্ভোগ হয়—এমন আন্দোলন পরিহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন