রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গ

অনলাইন ডেস্ক
১৮ জুলাই ২০২৪ ১২:৩৩ |আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪ ১১:৩৫
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গ

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সহিংসতার নিন্দাও জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে আন্দোলনে সহিংসতার দিকে যুক্তরাষ্ট্র তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বলেও জানানো হয়েছে। ঢাকা এবং ওয়াশিংটন – দুই স্থান থেকেই বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার প্রশ্নও সামনে এসেছে। এমনকি বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়ার বিষয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও বাংলাদেশ ইস্যুতে নীরব থাকার বিষয়টি মানতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের ওপর হামলা-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অন্তত ছয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন সরকারের দলীয় শাখা ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশেষভাবে নিষ্ঠুর আচরণ করছে, বিশেষ করে মেয়ে ও নারীদের ওপর। এবং তারা গত দেড় দশক ধরেই বারবার এটি করে আসছে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র কি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করবে কি না?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার জানান, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনা করার বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলবেন না। তবে ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের সময় যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র নজরে রেখেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আরও জানান, প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে করার বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত আহ্বান জানিয়েছি। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে যেকোনও ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানায় ওয়াশিংটন।

এ সময় কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বোরোবি) অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের তরুণ ছাত্র আবু সাঈদ তার সহপাঠীদের বাঁচাতে পুলিশের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের বাহিনী তাকে গুলি করতে দ্বিধা করেনি। নির্বাচনের ঠিক আগে থেকে এভাবেই ক্ষমতা ধরে রেখেছে সরকার। যখন জনগণের অধিকার ছিনতাই করা হলো, তখনই যুক্তরাষ্ট্র নীরব হয়ে গেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সপ্তাহজুড়ে কথা বলছে এবং আবারও এর পুনরাবৃত্তি করে জানানো হচ্ছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে তারা যেকোনও সহিংসতার নিন্দা করেন।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ঢাকার দূতাবাস থেকে খুব কাছ থেকে দেখছে এবং ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বিক্ষোভের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। বিক্ষোভে লোক মারা যাওয়ার, নিহত হওয়ার খবরও যুক্তরাষ্ট্র অবগত। এবং আবারও, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার বিষয়ে মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।



মন্তব্য করুন