সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডাকল তদন্ত কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৫ |আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৬
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি শনিবার প্রকাশ করেছে কমিশন। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিশনের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হাজির হয়ে বা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। 

তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মির্জা আজম, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ শামসুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ ও পুলিশের সাবেক সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।

এসব ব্যক্তি দুই পদ্ধতির যেকোনো একটি মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান। কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানে আগ্রহী ব্যক্তিরা +৮৮০১৭১৪০২৬৮০৮ মুঠোফোন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করে অথবা [email protected] এই ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ করে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। কার্যালয়ের ঠিকানাবিআরআইসিএম, নতুন ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি), ড. কুদরাত-এ-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনেও সাক্ষ্য দেওয়া যাবে। ওই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওই ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়া যাবে।

সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে কমিশন ওই ব্যক্তিদের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায়। এ কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে সাক্ষীদের তাদের প্রস্তাবিত সময়সূচি ফোনকল অথবা ইমেইল অথবা পত্রের মাধ্যমে কমিশনের ঠিকানায় লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাক্ষীদের অসহযোগিতার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন আইনানুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান শনিবার রাতে মোবাইলে বলেন, তদন্তের স্বার্থে ওই ১৫ জনের কথা শুনতে চায় কমিশন। এ জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে, যাতে কমিশনের বার্তা তাদের (সাক্ষ্য দিতে ডাকা ১৫ জন) কাছে পৌঁছায়। আর যে মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, আশা করি, সাক্ষীরা সেই মাধ্যম ব্যবহার করে সাড়া দেবেন।



মন্তব্য করুন