বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনায় মোড়ানো জিলাপি, প্রতি কেজি ২০ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫৫ |আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৪৪
সোনায় মোড়ানো জিলাপি
সোনায় মোড়ানো জিলাপি

রমজান উপলক্ষে জিলাপি তৈরি করেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল কর্তৃপক্ষ। প্রতি কেজি জিলাপির দাম ২০ হাজার টাকা! বিশেষ এই জিলাপি ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে মোড়ানো। সে জন্যই এতো দাম। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিক্রি হচ্ছে বিশেষ ধরনের এ সোনার প্রলেপ দেওয়া জিলাপি।

সাধারণ গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বুধবার থেকে এটি বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি জিলাপিতে ২৪ ক্যারেটের খাবার উপযোগী সোনার ২০ থেকে ২২টি লিফ বা পাতলা পাত থাকবে। একজন গ্রাহক ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম জিলাপি কিনতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দাম পড়বে পাঁচ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার সোনার জিলাপি বিক্রি নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি কার্ড শেয়ার করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল। এরপর থেকে বেশ সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছে তারা।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতিমধ্যে ৫-৬টি গ্রাহকের অর্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু অর্ডার তাদের কাছে আছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ইফতার ও সাহ্‌রির আয়োজন করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। সেখানে ইফতারিতে ডেজার্ট হিসেবে ঐতিহ্যবাহী জাফরান জিলাপি পরিবেশন করে ঢাকার বিখ্যাত এই হোটেল।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ফেসবুক পেজের তথ্যানুসারে, সাধারণ জাফরান জিলাপির দাম রাখা হয় কেজি প্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা করে। তবে সোনায় মোড়ানো জিলাপি খেতে হলে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ২০ হাজার টাকা। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজানে ভোক্তাদের ভিন্ন কিছুর স্বাদ দিতেই এ আয়োজন।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, খাদ্য ও পানীয় এখন আর শুধু খাওয়ার বিষয় নয়। মানুষ এখন আর শুধু নামেই বিলাসিতা পেতে চায় না। তারা বিলাসী পণ্যের অনন্য স্বাদ ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চায়। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এ ধরনের অভিজ্ঞতা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি গ্রাহকদের সেই বিলাসিতা উপভোগের সুযোগ দিতে চায়। সে জন্যই বিশেষ এ জিলাপি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ব্যবহারযোগ্য সোনা ছাড়াও আরেকটি বিশেষ ধরনের সোনা আছে, যা খাওয়াও যায়। সেটিই ব্যবহার করা হয়েছে এই জিলাপির রেসিপিতে। খাওয়ার সোনা দুবাইসহ বিশ্বের ধনী ও সোনাসমৃদ্ধ শহরগুলোয় জনপ্রিয়। দামি এই ধাতু পুষ্টিগুণসমৃদ্ধও। সোনা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, জিংক, কপার ও সেলেনিয়ামের উৎস। নবাবি খাবারে সোনা ব্যবহারের রীতি ছিল।



মন্তব্য করুন