শিষ্যকে জুতাপেটা রাহাত ফতেহ আলীর, গুনতে হলো মাশুল
ছবি : সংগৃহীত
এক ব্যক্তিকে জুতাপেটা করছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। মারার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। দিন কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এমন একটি ভিডিও। ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয় গায়ককে। পরে এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তবে এতে শেষ রক্ষা হলো না। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গায়কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কিং চার্লস ট্রাস্ট।
ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাস্টের মুখপাত্র
বলেন, ‘আমরা সব ধরনের
সহিংসতার বিরুদ্ধে, যেটা যে পরিস্থিতিতেই ঘটে থাকুক। আমাদের নীতিতে, এ ধরনের কার্যকলাপের
স্থান নেই। এ বিষয়ে আমরা খুবই কঠোর। আমরা তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করছি।’
২০১৭ সালে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের শুভেচ্ছাদূত
হিসেবে নিয়োগ পান রাহাত ফতেহ আলী খান। তার ওই নিয়োগ ঘোষণা করেছিলেন প্রিন্স চার্লস
স্বয়ং।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া
ভিডিওতে দেখা গেছে, রাহাত ফতেহ আলী খান ‘আমার বোতল কোথায়?’ বলতে বলতে ওই
ব্যক্তিকে আঘাত করতে থাকেন। ওই ব্যক্তি কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন। বলেন, বোতলের বিষয়ে
তিনি কিছুই জানেন না। এরপরও মারা থামাননি গায়ক। ভিডিওতে তার এহেন অমানবিক রূপ দেখে
হতবাক ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় বইছে।
পরে ভিডিওটির ব্যাখ্যা দিয়ে ফতেহ আলী খান
বলেন, ছাত্ররা ভুল করে। তার জন্য শাস্তি দিতে হয়। কিন্তু পরে এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন
গায়ক। তার কথায়, ‘শিষ্য ও গুরুর মধ্যে এটা ব্যক্তিগত বিষয়।
ও আমার সন্তানের মতো। একজন শিষ্য যখন ভালো কিছু করে, তখন তাকে ভালোবাসা দিই। আর যখন
ভুল কাজ করে, তখন শাস্তি দিই।’
ওই ছাত্রও জানিয়েছেন, তার কাছে ওস্তাদজি
ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি তো বাবার মতো। আর বাবা যদি সন্তানকে শাস্তি দেন, তাতে দোষের কিছু
নেই বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
মন্তব্য করুন