বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন, কী বলছেন পরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুন ২০২৪ ২০:৩৯ |আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪ ১৯:২৪
গোলাম সাকলায়েন ও পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম সাকলায়েন ও পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় পরীমণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।

এবার এডিসি সাকলায়েন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ বিষয়ে গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেছেন, নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে তো কেউ এর আগে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তার আগেই তো এত অপবাদ, এত কিছু...। যেখানে সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব। আমার মনে হয় না, সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কারণ, পুরো বিষয়টির মধ্যেই আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না।

সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পরীমণি বলেন, এটাও তো বলব না। এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।



মন্তব্য করুন