কে হচ্ছেন জাবির ১৯তম উপাচার্য?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১১ (১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এই তিনজনের মধ্যে একজনকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের যেকোন পরিস্থিতিতে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক বিপ্লব কিংবা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এখানকার শীর্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে সবসময় সতর্ক দৃষ্টি দেয় সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান আলোচিত বিষয় উপাচার্য নিয়োগ। শাখা ছাত্রলীগও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২ মার্চ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হলেও টানা দ্বিতীয়বার উপাচার্য হন তিনি। চলতি বছরের ২ মার্চ ফারজানা ইসলাম অবসরে যান। তার আগে ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল তাকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এদিকে নূরুল আলমের উপ-উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ আগস্ট। তার একদিন আগে (১২ আগস্ট) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮১ জন সিনেটর বা ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৭৬ জন। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৮ ভোট পেয়ে প্রথম হন জাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন। ৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম এবং ৩২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১১ (১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এই তিনজনের মধ্যে একজনকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এ দিকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে তেমন পক্ষপাতিত্ব নেই বলেই জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘নির্বাচিত ভিসি প্যানেলের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং যোগ্য। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যাকেই ভিসি হিসেবে হিসেবে মনোনীত করবেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থিতিশীল ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে তার সাথেই কাজ করে যাবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মনোনীত যোগ্য ভিসির সাথে এক হয়েই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সর্বদা কাজ করে যাবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাব।’
মন্তব্য করুন