রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবির রেজিস্ট্রারের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, অব্যাহতির দাবি শিক্ষক সমিতির

ইবি প্রতিনিধি
২ জুন ২০২৪ ২১:১১ |আপডেট : ৬ জুন ২০২৪ ২০:২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের আপত্তিকর ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। শনিবার ‘ইবির ত্রাস’নামক ফেসবুক আইডি থেকে এটি পোস্ট করা হলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে রেজিস্ট্রার আলী হাসান ও ভিডিও কলের বিপরীত পাশ থাকা মেয়েটিকে বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। তবে অপর পাশের মেয়েটিকে শনাক্ত করা যায়নি।

ভিডিও ভাইরালের পর থেকে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে সমালোচনার ঝড়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের একেরপর এক এমন কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে বলে দাবি সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। 

এদিকে প্রকাশিত ভিডিও পর্যালোচনা করে এর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। একইসঙ্গে ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির দাবি জানায় তারা।

তবে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের দাবি, ভাইরাল হওয়া ভিডিও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এডিট করা হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ এসব করেছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে প্রশাসনের সকলের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম উল্টাপাল্টা পোস্ট করা হয়। এসব নেগেটিভ কাজকর্ম যারা করে তাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এসব উড়ো জিনিসের উপর ভিত্তি করে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। কারও কাছে যদি শক্তিশালী প্রমাণ থাকে তাহলে সরাসরি সেটা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রায় ১৪টিরও বেশি অডিও ভাইরাল হয়। এরমধ্যে একাধিক ইবি রেজিস্ট্রারের কণ্ঠ সদৃশ অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত' আলাপন ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। পরে এগুলো এডিট দাবি করে থানায় জিডি করে কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব ভুয়া ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে এসব অডিও ও ভিডিও পোস্ট করা হয় সেগুলো বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য করুন