বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিবিরের রগ কাটার অভিযোগে ঢাবি সেক্রেটারির বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৯ |আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিবের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিবের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ

‘রগ কাটা’ অভিযোগের জবাব দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিবের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাবির টিএসসিতে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

 রগ কাটা অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে ফরহাদ বলেন, এটা আমি সহজ করে বলি, আপনি রগ কাটা লিখে গুগলে সার্চ করেন দেখবেন সব ক্রাইম ছাত্রলীগের নামে। সেখানে শিবির নামে কোনো ডকুমেন্ট পাবেন না।

এ নামটা (রগ কাটা) আপনাদের সঙ্গে এত জড়িত কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক, ফ্যাসিবাদরা যখন একটা ব্যাপারকে রিপিটেডলি এস্টাবলিশ করতে চাইবে তখন আপনি কথা বললে আপনাকে ট্যাগ দিয়ে মেরে ফেলবে। আপনি এখানে একটা বয়ান এস্টাবলিশ করবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। এখানে বিষয়টাকে প্রত্যেকটা উপাদান হেল্প করছে। কেউ এ উপাদানটাকে বিরোধিতা করতে পারেনি।

নেগেটিভ বিষয় যে এস্টাবলিশ করুক না কেন, কেউ হয়তো সমর্থন দেয়নি, কিন্তু কেউ এর বিরোধিতা করতে পারেনি। সমন্বিত সামগ্রিক ইফোর্ট দিয়ে যখন কোনো কিছু দাঁড় করায় তখন সেখানে নেগেটিভ এস্টাবলিশ হতে বাধ্য। এখন এ নেগেটিভ রাইট অর রং এটার ডিসিশন দেবেন আপনারা। আপনারা সাংবাদিক যারা আছেন তারা এ বিষয়টাকে যাচাই অথবা অ্যানালাইসিস করবেন, এটা সত্য কি না।

এর আগে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর এবার আলোচনায় এসেছেন শিবিরের সেক্রেটারি।

সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। এর পরই শুরু হয় তুমুল আলোচনা।

আব্দুল কাদের ওই স্ট্যাটাসে ফরহাদ নামের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ২০২২-২৩ সেশনে জসীমউদদীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন। এ ছাড়া এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রসংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৯ দফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফরহাদ বলেন, এই আন্দোলন সব মানুষের ছিল। বিভিন্ন নেতাকর্মী নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। ছাত্রশিবিরও তার রিসোর্স নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে, এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।

তিনি আরও বলেন, এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যে ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার প্রতিটির বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা সবাই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা ছাত্রশিবির থেকে তা দেবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে ১৯৯০ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে রাজনীতি না করতে দেওয়ার বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মতৈক্য হয়েছিল। এ বিষয়ে শিবির নেতা ফরহাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।



মন্তব্য করুন